Badha Ghat, built by the Zamindar of Narail, is situated beside the beautiful river Chitra. The house of the Zamindar was near from the ghat (now vanished after having a struggle with the era). Although the Zamindar built it, in locals, it is popularly known as Rajbari Ghat. The Zamindar used to pass his leisure time here pretty often at afternoon. There is a temple near the Badha Ghat of Hindu deity Swarashwati, the goddess of music and wisdom. But the place needs more care and restoration by the narail municipal...
Read moreনড়াইল শহরের ভিক্টোরিয়া কলেজ সংলগ্ন চিত্রা নদীর পাড়ে ঐতিহ্যবাহী নড়াইল বাঁধা ঘাট (Narail Badha Ghat) বা বাঁধানো ঘাট অবস্থিত। ভারতের গঙ্গা নদীর তীরে একই আদলে আরও একটি ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। নৌপরিবহন ও নদীর তীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য নড়াইলের জমিদার এই বাঁধা ঘাট নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের কাছে এটি রাজবাড়ী ঘাট হিসেবে পরিচিত।
গ্রীক স্থাপত্য রীতিতে ডোরিক কলামের উপর নির্মিত ছাউনিটি বাঁধা ঘাঁটের মূল আকর্ষণ। ঘাটের ওপরের অংশে আছে ২০টি কারুকার্যময় থাম, প্রতিটি ২০ ফুটের মতো উঁচু। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চাকরি করতেন খুলনা কালেক্টরেটে। সেখান থেকে তিনি নৌকায় আসতেন নড়াইল মহকুমা শহরে। পথেই ছিল জমিদারবাড়ির বাঁধা ঘাটটি।
বঙ্কিমচন্দ্র চিত্রা নদীতে নৌকায় বসে কারুকার্যময় ঘাটটি দেখতেন। নড়াইল জমিদারদের বিভিন্ন ইতিহাস আর ঘাটটির প্রতি তৈরি হওয়া ভালোবাসার চিহ্ন পাওয়া যায় তাঁর 'কমলাকান্তের দপ্তর' আর 'কৃষ্ণকান্তের উইল' গ্রন্থে। নড়াইল শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরেই ছিল জমিদারদের বসতি।
১৯৫১ সালের পর ধীরে ধীরে তাঁরা দেশান্তরী হতে থাকেন। রেখে যান বিশাল বিশাল কারুকার্যময় প্রাসাদ, চিত্রা নদী তীরের বাঁধা ঘাট, ভিক্টোরিয়া কলেজ, মঠ, মন্দিরসহ নানা কীর্তি। তাঁরা যাওয়ার পর লুটপাটের শিকার হয় জমিদারবাড়ি। ১৯৮৩-৮৪ সালে সরকারি নিলামে বিক্রি হয়ে যায়। এখন সেখানে গড়ে উঠেছে পুলিশ লাইন, সরকারি শিশুসদন। টিকে আছে ক্ষয়িষ্ণু দুটি পিলার, একটি মঠ, আর একটি সর্বমঙ্গলা মন্দির। জমিদারবাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের ঘাটটি ছিল সংরক্ষিত। এটি শুধু জমিদারবাড়ির মহিলারাই ব্যবহার করতেন। জমিদারবাড়ি থেকে পালকিতে ঘাটে নেমে স্নান সারতেন জমিদারবাড়ির কন্যা-জায়া-জননীরা। ভিক্টোরিয়া যুগের সেই প্রাচীন ঘাটটি এখন পরিচিত চিত্রাপাড়ের রূপগঞ্জ...
Read moreবাধা ঘাট বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত নড়াইল শহরের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। এটির ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এটির গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষ করে বিখ্যাত শিল্পী এস এর সাথে সম্পর্কিত। এম. সুলতান।
এস.এম. সুলতানের সাথে সংযোগ: নড়াইল জেলায় অবস্থিত বাধা ঘাট, যেখানে এস এম সুলতান তার জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কাটিয়েছেন। সুলতান প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সেখানকার মানুষের জীবন থেকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে শহর কেন্দ্র থেকে দূরে নড়াইলের গ্রামীণ ল্যান্ডস্কেপে বসবাস করতে বেছে নেন। এলাকাটি তার শিল্পের উপর একটি বড় প্রভাব হয়ে ওঠে, যা প্রায়শই কৃষক, জেলে এবং শ্রমিকদের জীবনকে চিত্রিত করে।
সুলতানের স্টুডিও ছিল বাধা ঘাটের কাছে, এবং তিনি প্রায়শই স্থানীয় দৃশ্যগুলি আঁকতেন - গ্রামীণ জীবনের সংগ্রাম এবং সৌন্দর্যকে তার চরিত্রগত শৈলীতে ক্যাপচার করে। এই গ্রামীণ পরিবেশ তাকে তার কাজগুলিতে চিত্রিত বিষয়গুলির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে বসবাস করতে দেয়।
বাধা ঘাট আজ: আজ, বাধা ঘাট এবং এর আশেপাশের এলাকাগুলি প্রায়শই এস.এম. সুলতানের উত্তরাধিকারের সাথে জড়িত, যা তার জীবন এবং শিল্পের প্রতি আগ্রহী দর্শকদের আকর্ষণ করে। এস. নড়াইলে অবস্থিত এম. সুলতান ফাউন্ডেশনও তার স্মৃতি রক্ষা করে এবং শিল্প শিক্ষার প্রচার করে। এলাকাটি তাদের জন্য এক ধরনের তীর্থস্থান হয়ে উঠেছে যারা সুলতানের কাজের প্রশংসা করেন এবং তাকে অনুপ্রাণিত করা ল্যান্ডস্কেপের সাথে সংযোগ করতে চান।
সংক্ষেপে বলা যায়, নড়াইলের বাধা ঘাট শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গাই নয়, বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী শিল্পীর সাথে যুক্ত থাকার কারণে এটি একটি উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক...
Read more