HTML SitemapExplore
logo
Find Things to DoFind The Best Restaurants

Adi Chitteswari Durga Temple — Attraction in Kolkata

Name
Adi Chitteswari Durga Temple
Description
Nearby attractions
Ramakrishna Math Cossipore Uddyanbati
90, Cossipore Rd, CIT, Cossipore, Kolkata, West Bengal 700002, India
Nearby restaurants
CAFE EXPRESS
21/A, Khagendra Chatterjee Rd, Cossipore, Kolkata, West Bengal 700002, India
Chowman (Sinthi)
Bus Stop, 34H, Barrackpore Trunk Rd, CIT, Cossipore, Kolkata, West Bengal 700002, India
Tandoor-E-Punjab
26/50, Dum Dum Rd, Chiriamore, Goshala Basti, crossing, Kolkata, West Bengal 700002, India
Indian Zaika
5a, Lala Babu Ln, East Kolkata Township, Sawdagarh Pally, Cossipore, Kolkata, West Bengal 700002, India
Oudh 1590 - BT Road Paikpara
Om Enclave, 59/2, Barrackpore Trunk Rd, Rishi, Paikpara, Kolkata, West Bengal 700002, India
ABAR KHABOO RESTAURANT & CATERER
42, CHIRYAMORE, 26, Dum Dum Rd, Chiriamore, Goshala Basti, Cossipore, Kolkata, West Bengal 700002, India
New Punjab Hindu Hotel
J97H+WFH, Rishi, Paikpara, Kolkata, West Bengal 700002, India
Nataraj Hotel
Dum Dum Rd, Chiriamore, Goshala Basti, Cossipore, Kolkata, West Bengal 700002, India
Nearby hotels
Related posts
Keywords
Adi Chitteswari Durga Temple tourism.Adi Chitteswari Durga Temple hotels.Adi Chitteswari Durga Temple bed and breakfast. flights to Adi Chitteswari Durga Temple.Adi Chitteswari Durga Temple attractions.Adi Chitteswari Durga Temple restaurants.Adi Chitteswari Durga Temple travel.Adi Chitteswari Durga Temple travel guide.Adi Chitteswari Durga Temple travel blog.Adi Chitteswari Durga Temple pictures.Adi Chitteswari Durga Temple photos.Adi Chitteswari Durga Temple travel tips.Adi Chitteswari Durga Temple maps.Adi Chitteswari Durga Temple things to do.
Adi Chitteswari Durga Temple things to do, attractions, restaurants, events info and trip planning
Adi Chitteswari Durga Temple
IndiaWest BengalKolkataAdi Chitteswari Durga Temple

Basic Info

Adi Chitteswari Durga Temple

9, Khagendra Chatterjee Rd, CIT, Cossipore, Kolkata, West Bengal 700002, India
4.8(101)
Open 24 hours
Save
spot

Ratings & Description

Info

Cultural
Family friendly
Accessibility
attractions: Ramakrishna Math Cossipore Uddyanbati, restaurants: CAFE EXPRESS, Chowman (Sinthi), Tandoor-E-Punjab, Indian Zaika, Oudh 1590 - BT Road Paikpara, ABAR KHABOO RESTAURANT & CATERER, New Punjab Hindu Hotel, Nataraj Hotel
logoLearn more insights from Wanderboat AI.
Phone
+91 94333 55773

Plan your stay

hotel
Pet-friendly Hotels in Kolkata
Find a cozy hotel nearby and make it a full experience.
hotel
Affordable Hotels in Kolkata
Find a cozy hotel nearby and make it a full experience.
hotel
The Coolest Hotels You Haven't Heard Of (Yet)
Find a cozy hotel nearby and make it a full experience.
hotel
Trending Stays Worth the Hype in Kolkata
Find a cozy hotel nearby and make it a full experience.

Reviews

Nearby attractions of Adi Chitteswari Durga Temple

Ramakrishna Math Cossipore Uddyanbati

Ramakrishna Math Cossipore Uddyanbati

Ramakrishna Math Cossipore Uddyanbati

4.7

(523)

Closed
Click for details

Things to do nearby

Bengali Nights Food Tour with 15-plus tastings
Bengali Nights Food Tour with 15-plus tastings
Fri, Dec 5 • 5:00 PM
Kolkata, West Bengal, 700013, India
View details
Kolkata: A Sea of Faces and A Thousand Places
Kolkata: A Sea of Faces and A Thousand Places
Sat, Dec 6 • 9:30 AM
Kolkata, West Bengal, 700069, India
View details
Watch Calcutta wake up- Magic Hour Tour
Watch Calcutta wake up- Magic Hour Tour
Sat, Dec 6 • 5:30 AM
Kolkata, West Bengal, 700072, India
View details

Nearby restaurants of Adi Chitteswari Durga Temple

CAFE EXPRESS

Chowman (Sinthi)

Tandoor-E-Punjab

Indian Zaika

Oudh 1590 - BT Road Paikpara

ABAR KHABOO RESTAURANT & CATERER

New Punjab Hindu Hotel

Nataraj Hotel

CAFE EXPRESS

CAFE EXPRESS

4.4

(24)

Click for details
Chowman (Sinthi)

Chowman (Sinthi)

4.3

(2K)

$$

Click for details
Tandoor-E-Punjab

Tandoor-E-Punjab

4.1

(485)

Click for details
Indian Zaika

Indian Zaika

3.5

(10)

Click for details
Get the Appoverlay
Get the AppOne tap to find yournext favorite spots!
Wanderboat LogoWanderboat

Your everyday Al companion for getaway ideas

CompanyAbout Us
InformationAI Trip PlannerSitemap
SocialXInstagramTiktokLinkedin
LegalTerms of ServicePrivacy Policy

Get the app

© 2025 Wanderboat. All rights reserved.
logo

Posts

Suvendu DasSuvendu Das
#বাসন্তী_পুজো #চিত্তেশ্বরী_দুর্গামন্দির_চিৎপুর৷ আদি চিত্তেশ্বরী দুর্গা মন্দিরটা কলকাতার কাশীপুরের ‘গান-অ্যান্ড-শেল’ কারখানার পাশে অবস্থিত। জনশ্রুতি যে প্রাচীন কলকাতার চিৎপুর (‘চিত্রপুর’) অঞ্চলের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন ‘চিত্তেশ্বরী’/’চিত্রেশ্বরী’। আনুমানিক প্রায় আঠশো বছর আগে #চিতু ডাকাত এই দেবীপূজা শুরু করেন৷ দেবীমূর্তি প্রাচীন হলেও বর্তমান চিত্তেশ্বরী মন্দিরটি বয়সে অপেক্ষাকৃত নবীন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শ্রী মনোহর ঘোষের নাম উল্লিখিত আছে। বাংলার ডাকাতদের তৈরি প্রাচীন কালীমন্দিরে নরবলির ইতিহাস পাওয়া যায়। কিন্তু ডাকাতের আরাধ্য দেবী দুর্গা আবার সেখানে নরবলির ইতিহাস বিরলতম। চিতু ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত চিত্তেশ্বরী মন্দির এক্ষেত্রে ইতিহাসের এক ব্যতিক্রম। ঐতিহাসিকদের মতে “চিৎপুর রোড কলিকাতার একটা অতি পুরানো পথ। মোগল বাদশাহর আমল থেকেএই পথটার অস্তিত্ব। তখনদিনে ভীষণ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলেছিলো অপ্রশস্ত বনপথ। এই পথের যাত্রীরা, কাপালিক এবং শাক্ত-সন্ন্যাসীরা, সেই পুরাকালে চিত্রেশ্বরী ঠাকুর দর্শন করে জঙ্গল সমাচ্ছন্ন চৌরঙ্গীর মধ্য দিয়ে কালীঘাট যেতেন যে রাস্তাকে ইংরেজ আমলে 'পিলগ্রিমেজ পাথ' বলা হতো। চিত্রেশ্বরীর নাম থেকেই এই পথটার নাম ‘চিৎপুর’ হয়েছে। বাংলা দেশের সর্বত্র “ডাকাতে কালী” দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু “ডাকাতে দুর্গা” একমাত্র কাশীপুর – চিৎপুর ব্যাতীত কোথাও দেখতে পাওয়া যায়না। চিতু ডাকাত কালীপূজা না করে দুর্গাপূজা করতেন, এটাই ছিল তাঁর বিশেষত্ব। চিতু বা চিতে ডাকাতের সম্পূর্ণ নাম ছিল চিত্তেশ্বর রায় বা চিত্রেশ্বর রায়। সেকালে লোকদের মূর্তিমান বিভীষিকা চিতু ডাকাত আগে চিঠিতে খবর দিয়ে ডাকাতি করতে যেতো আর যাবার আগে দেবী দুর্গার ষোড়শোপচারে পূজা করে নরবলি দিয়ে তারপর সে ডাকাতি করতে পথে বেরোতো৷ আজ যেখানে চিত্তেশ্বরী দেবীর মন্দির অবস্থিত একসময় তার খুব কাছেই ছিল গঙ্গা। এই চিতু ডাকাতের বংশেই পরে রঘু ডাকাতের জন্ম হয়েছিল। ডাকাতির জন্য রঘু ডাকাতের নামও গোটা বাংলায় খ্যাতিলাভ করে আর তাঁর সম্বন্ধেও বহু অলৌকিক কাহিনী আজও প্রবাদের ন্যায় প্রচলিত রয়েছে৷ চিতু ডাকাতের পূজিত দুর্গাদেবীর মুর্তিতে কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য৷ দেবী অসুরদলনী সিংহবাহিনী হলেও, তাঁর দুইপার্শ্বে লক্ষ্মী-সরস্বতী ও কার্ত্তিক-গণেশ নেই। প্রচলিত দুর্গামুর্তিতে কোথাও বাঘ দেখা যায় না। কিন্তু চিতুর দুর্গাপ্রতিমার পাদদেশে একটি বাঘ আছে। প্রাচীনকালে কাশীপুর থেকে কলকাতা যখন জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল ছিল, তখন ডাকাতেরা বন জঙ্গলে বাঘকে সন্তুষ্ট করার জন্য পূজা করত। চিতু ডাকাতের পূজিতা দেবী দুর্গার নাম হয় চিত্তেশ্বরী ও কাশীপুরের অরণ্য ছিল চিতু ডাকাতের আবাসভূমি তাই তার নাম হয় চিত্রপুর যা কালক্রমে হয়ে ওঠে চিৎপুর৷ যার শুরু আছে, তার শেষও আছে। চিতে ডাকাতের শেষও নির্ধারিত ছিল।সেই সময় চিৎপুরের কাছে দত্ত পদবীর একঘর সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বাস করতেন। চক্রপাণি দত্ত বলে সেই পরিবারের একজন নবাবের সেনাপতি ছিলেন।একবার ওই বীর ও দুঃসাহসী চক্রপাণি নিজের পরিবার সমেত নিজের গ্রাম চিৎপুরে আসেন চিত্রেশ্বরী দেবীর পূজা দিতে। সেখানেই তাঁর সাথে চিতে ডাকাতের সংঘর্ষ বাধল।এরপরে চক্রপাণি দত্ত, কোম্পানি আর নবাবের সাথে গোপনে পরামর্শ করে ডাকাত ধরার ব্যবস্থা করলেন। এক রাত্রে তিনি গোপনে গভীর অরণ্যের মধ্যে কোম্পানি আর নবাবের সৈন্য নিয়ে চিতে ডাকাত কে ধরার জন্য প্রস্তুত হলেন আর তার নির্দেশে আচমকা নবাব আর কোম্পানির সশস্ত্র বাহিনী এসে গোটা মন্দির ঘিরে ফেলাতে চিতে ডাকাতের যে সঙ্গীরা বাধা দিতে গেল, তাঁরা সেখানেই মরলো, বাকিরা প্রাণভয়ে পলায়ন করলো।প্রাণভয়ে পালাতে গিয়ে চিতে ডাকাতও ধরা পড়েন আর সেকালের বিধান ও শাস্তি অনুসারে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। চিতু ডাকাতের পরলোকপ্রাপ্তির পর থেকে দেবী চিত্তেশ্বরীর নিম কাঠের তৈরি বিগ্রহ জঙ্গলে পড়ে রইলো, বন্ধ হল তাঁর পূজাপাঠ। এইভাবে বহুবছর অতিক্রান্ত হবার পরে নৃসিংহ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সাধু গঙ্গাতীরে চিৎপুরের বনে সাধনা করতেন। একদিন গভীর রাত্রে দেবী চিত্তেশ্বরী তাঁকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য স্বপ্নে নির্দেশ দেন। পরে বহু অনুসন্ধান করবার পর দেবীকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে তাঁর দারুমূর্ত্তিতে পুনরায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী চিত্তেশ্বরীর মূর্ত্তি উদ্ধারের সময় নৃসিংহ ব্রহ্মচারী দেবীর বক্ষস্থলে আটটি চরণে লেখা দুটি শ্লোক দেখতে পান। তিনি সেই মন্ত্রে দেবীর পূজা করেন এবং আজও সেই গুপ্ত মন্ত্রে চিতু ডাকাতের পূজিতা চিত্তেশ্বরী দুর্গাদেবীর পুজো হয়ে থাকে। ছবি©অরূপ কুমার দে ইতিহাসের বেশীরভাগ তথ্য নীচে উল্লেখিত বইগুলো থেকে পাওয়া৷ #আরও বিশদভাবে জানতে হলে নীচে দেওয়া বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন৷ ১) বাংলার ডাকাত, যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান৷ ২) বাংলার ডাকাত, ধীরেন্দ্রলাল ধর, দে’জ পাবলিশিং৷ ৩)বাংলার ডাকাত, খগেন্দ্রনাথ মিত্র। © লেখা -- অরূপ কুমার দে
Subarna DawSubarna Daw
চিত্তেশ্বরী_দুর্গামন্দির_চিৎপুর৷ আদি চিত্তেশ্বরী দুর্গা মন্দিরটা কলকাতার কাশীপুরের ‘গান-অ্যান্ড-শেল’ কারখানার পাশে অবস্থিত। জনশ্রুতি যে প্রাচীন কলকাতার চিৎপুর (‘চিত্রপুর’) অঞ্চলের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন ‘চিত্তেশ্বরী’/’চিত্রেশ্বরী’। আনুমানিক প্রায় আঠশো বছর আগে #চিতু ডাকাত এই দেবীপূজা শুরু করেন৷ দেবীমূর্তি প্রাচীন হলেও বর্তমান চিত্তেশ্বরী মন্দিরটি বয়সে অপেক্ষাকৃত নবীন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শ্রী মনোহর ঘোষের নাম উল্লিখিত আছে। বাংলার ডাকাতদের তৈরি প্রাচীন কালীমন্দিরে নরবলির ইতিহাস পাওয়া যায়। কিন্তু ডাকাতের আরাধ্য দেবী দুর্গা আবার সেখানে নরবলির ইতিহাস বিরলতম। চিতু ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত চিত্তেশ্বরী মন্দির এক্ষেত্রে ইতিহাসের এক ব্যতিক্রম। ঐতিহাসিকদের মতে “চিৎপুর রোড কলিকাতার একটা অতি পুরানো পথ। মোগল বাদশাহর আমল থেকেএই পথটার অস্তিত্ব। তখনদিনে ভীষণ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলেছিলো অপ্রশস্ত বনপথ। এই পথের যাত্রীরা, কাপালিক এবং শাক্ত-সন্ন্যাসীরা, সেই পুরাকালে চিত্রেশ্বরী ঠাকুর দর্শন করে জঙ্গল সমাচ্ছন্ন চৌরঙ্গীর মধ্য দিয়ে কালীঘাট যেতেন যে রাস্তাকে ইংরেজ আমলে 'পিলগ্রিমেজ পাথ' বলা হতো। চিত্রেশ্বরীর নাম থেকেই এই পথটার নাম ‘চিৎপুর’ হয়েছে। বাংলা দেশের সর্বত্র “ডাকাতে কালী” দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু “ডাকাতে দুর্গা” একমাত্র কাশীপুর – চিৎপুর ব্যাতীত কোথাও দেখতে পাওয়া যায়না। চিতু ডাকাত কালীপূজা না করে দুর্গাপূজা করতেন, এটাই ছিল তাঁর বিশেষত্ব। চিতু বা চিতে ডাকাতের সম্পূর্ণ নাম ছিল চিত্তেশ্বর রায় বা চিত্রেশ্বর রায়। সেকালে লোকদের মূর্তিমান বিভীষিকা চিতু ডাকাত আগে চিঠিতে খবর দিয়ে ডাকাতি করতে যেতো আর যাবার আগে দেবী দুর্গার ষোড়শোপচারে পূজা করে নরবলি দিয়ে তারপর সে ডাকাতি করতে পথে বেরোতো৷ আজ যেখানে চিত্তেশ্বরী দেবীর মন্দির অবস্থিত একসময় তার খুব কাছেই ছিল গঙ্গা। এই চিতু ডাকাতের বংশেই পরে রঘু ডাকাতের জন্ম হয়েছিল। ডাকাতির জন্য রঘু ডাকাতের নামও গোটা বাংলায় খ্যাতিলাভ করে আর তাঁর সম্বন্ধেও বহু অলৌকিক কাহিনী আজও প্রবাদের ন্যায় প্রচলিত রয়েছে৷ চিতু ডাকাতের পূজিত দুর্গাদেবীর মুর্তিতে কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য৷ দেবী অসুরদলনী সিংহবাহিনী হলেও, তাঁর দুইপার্শ্বে লক্ষ্মী-সরস্বতী ও কার্ত্তিক-গণেশ নেই। প্রচলিত দুর্গামুর্তিতে কোথাও বাঘ দেখা যায় না। কিন্তু চিতুর দুর্গাপ্রতিমার পাদদেশে একটি বাঘ আছে। প্রাচীনকালে কাশীপুর থেকে কলকাতা যখন জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল ছিল, তখন ডাকাতেরা বন জঙ্গলে বাঘকে সন্তুষ্ট করার জন্য পূজা করত। চিতু ডাকাতের পূজিতা দেবী দুর্গার নাম হয় চিত্তেশ্বরী ও কাশীপুরের অরণ্য ছিল চিতু ডাকাতের আবাসভূমি তাই তার নাম হয় চিত্রপুর যা কালক্রমে হয়ে ওঠে চিৎপুর৷ যার শুরু আছে, তার শেষও আছে। চিতে ডাকাতের শেষও নির্ধারিত ছিল।সেই সময় চিৎপুরের কাছে দত্ত পদবীর একঘর সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বাস করতেন। চক্রপাণি দত্ত বলে সেই পরিবারের একজন নবাবের সেনাপতি ছিলেন।একবার ওই বীর ও দুঃসাহসী চক্রপাণি নিজের পরিবার সমেত নিজের গ্রাম চিৎপুরে আসেন চিত্রেশ্বরী দেবীর পূজা দিতে। সেখানেই তাঁর সাথে চিতে ডাকাতের সংঘর্ষ বাধল।এরপরে চক্রপাণি দত্ত, কোম্পানি আর নবাবের সাথে গোপনে পরামর্শ করে ডাকাত ধরার ব্যবস্থা করলেন। এক রাত্রে তিনি গোপনে গভীর অরণ্যের মধ্যে কোম্পানি আর নবাবের সৈন্য নিয়ে চিতে ডাকাত কে ধরার জন্য প্রস্তুত হলেন আর তার নির্দেশে আচমকা নবাব আর কোম্পানির সশস্ত্র বাহিনী এসে গোটা মন্দির ঘিরে ফেলাতে চিতে ডাকাতের যে সঙ্গীরা বাধা দিতে গেল, তাঁরা সেখানেই মরলো, বাকিরা প্রাণভয়ে পলায়ন করলো।প্রাণভয়ে পালাতে গিয়ে চিতে ডাকাতও ধরা পড়েন আর সেকালের বিধান ও শাস্তি অনুসারে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। চিতু ডাকাতের পরলোকপ্রাপ্তির পর থেকে দেবী চিত্তেশ্বরীর নিম কাঠের তৈরি বিগ্রহ জঙ্গলে পড়ে রইলো, বন্ধ হল তাঁর পূজাপাঠ। এইভাবে বহুবছর অতিক্রান্ত হবার পরে নৃসিংহ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সাধু গঙ্গাতীরে চিৎপুরের বনে সাধনা করতেন। একদিন গভীর রাত্রে দেবী চিত্তেশ্বরী তাঁকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য স্বপ্নে নির্দেশ দেন। পরে বহু অনুসন্ধান করবার পর দেবীকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে তাঁর দারুমূর্ত্তিতে পুনরায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী চিত্তেশ্বরীর মূর্ত্তি উদ্ধারের সময় নৃসিংহ ব্রহ্মচারী দেবীর বক্ষস্থলে আটটি চরণে লেখা দুটি শ্লোক দেখতে পান। তিনি সেই মন্ত্রে দেবীর পূজা করেন এবং আজও সেই গুপ্ত মন্ত্রে চিতু ডাকাতের পূজিতা চিত্তেশ্বরী দুর্গাদেবীর পুজো হয়ে থাকে।
Punyasloka MukhopadhyayPunyasloka Mukhopadhyay
Established in 1610, the Adi Chitteswari Durga Temple is considered one of the oldest Ma Durga temples in Kolkata. The temple is located in the Cossipore-Chitpur region of north Kolkata, just opposite to the Gun and Shell Factory, very close to the Sarbamangala Ghat. The temple is relatively less crowded and the atmosphere is serene. The idols of Lord Ram and his family present within the complex are made in the local style, quite different from the traditional North Indian style. As per the information panels, the famous Chitpur Road (present-day Rabindra Sarani) is named after this temple, and the goddess (Chitteswari Durga) was worshipped by dacoits in the jungles of Chitpur more than 400 years back. A must-visit for history and heritage lovers.
See more posts
See more posts
hotel
Find your stay

Pet-friendly Hotels in Kolkata

Find a cozy hotel nearby and make it a full experience.

#বাসন্তী_পুজো #চিত্তেশ্বরী_দুর্গামন্দির_চিৎপুর৷ আদি চিত্তেশ্বরী দুর্গা মন্দিরটা কলকাতার কাশীপুরের ‘গান-অ্যান্ড-শেল’ কারখানার পাশে অবস্থিত। জনশ্রুতি যে প্রাচীন কলকাতার চিৎপুর (‘চিত্রপুর’) অঞ্চলের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন ‘চিত্তেশ্বরী’/’চিত্রেশ্বরী’। আনুমানিক প্রায় আঠশো বছর আগে #চিতু ডাকাত এই দেবীপূজা শুরু করেন৷ দেবীমূর্তি প্রাচীন হলেও বর্তমান চিত্তেশ্বরী মন্দিরটি বয়সে অপেক্ষাকৃত নবীন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শ্রী মনোহর ঘোষের নাম উল্লিখিত আছে। বাংলার ডাকাতদের তৈরি প্রাচীন কালীমন্দিরে নরবলির ইতিহাস পাওয়া যায়। কিন্তু ডাকাতের আরাধ্য দেবী দুর্গা আবার সেখানে নরবলির ইতিহাস বিরলতম। চিতু ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত চিত্তেশ্বরী মন্দির এক্ষেত্রে ইতিহাসের এক ব্যতিক্রম। ঐতিহাসিকদের মতে “চিৎপুর রোড কলিকাতার একটা অতি পুরানো পথ। মোগল বাদশাহর আমল থেকেএই পথটার অস্তিত্ব। তখনদিনে ভীষণ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলেছিলো অপ্রশস্ত বনপথ। এই পথের যাত্রীরা, কাপালিক এবং শাক্ত-সন্ন্যাসীরা, সেই পুরাকালে চিত্রেশ্বরী ঠাকুর দর্শন করে জঙ্গল সমাচ্ছন্ন চৌরঙ্গীর মধ্য দিয়ে কালীঘাট যেতেন যে রাস্তাকে ইংরেজ আমলে 'পিলগ্রিমেজ পাথ' বলা হতো। চিত্রেশ্বরীর নাম থেকেই এই পথটার নাম ‘চিৎপুর’ হয়েছে। বাংলা দেশের সর্বত্র “ডাকাতে কালী” দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু “ডাকাতে দুর্গা” একমাত্র কাশীপুর – চিৎপুর ব্যাতীত কোথাও দেখতে পাওয়া যায়না। চিতু ডাকাত কালীপূজা না করে দুর্গাপূজা করতেন, এটাই ছিল তাঁর বিশেষত্ব। চিতু বা চিতে ডাকাতের সম্পূর্ণ নাম ছিল চিত্তেশ্বর রায় বা চিত্রেশ্বর রায়। সেকালে লোকদের মূর্তিমান বিভীষিকা চিতু ডাকাত আগে চিঠিতে খবর দিয়ে ডাকাতি করতে যেতো আর যাবার আগে দেবী দুর্গার ষোড়শোপচারে পূজা করে নরবলি দিয়ে তারপর সে ডাকাতি করতে পথে বেরোতো৷ আজ যেখানে চিত্তেশ্বরী দেবীর মন্দির অবস্থিত একসময় তার খুব কাছেই ছিল গঙ্গা। এই চিতু ডাকাতের বংশেই পরে রঘু ডাকাতের জন্ম হয়েছিল। ডাকাতির জন্য রঘু ডাকাতের নামও গোটা বাংলায় খ্যাতিলাভ করে আর তাঁর সম্বন্ধেও বহু অলৌকিক কাহিনী আজও প্রবাদের ন্যায় প্রচলিত রয়েছে৷ চিতু ডাকাতের পূজিত দুর্গাদেবীর মুর্তিতে কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য৷ দেবী অসুরদলনী সিংহবাহিনী হলেও, তাঁর দুইপার্শ্বে লক্ষ্মী-সরস্বতী ও কার্ত্তিক-গণেশ নেই। প্রচলিত দুর্গামুর্তিতে কোথাও বাঘ দেখা যায় না। কিন্তু চিতুর দুর্গাপ্রতিমার পাদদেশে একটি বাঘ আছে। প্রাচীনকালে কাশীপুর থেকে কলকাতা যখন জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল ছিল, তখন ডাকাতেরা বন জঙ্গলে বাঘকে সন্তুষ্ট করার জন্য পূজা করত। চিতু ডাকাতের পূজিতা দেবী দুর্গার নাম হয় চিত্তেশ্বরী ও কাশীপুরের অরণ্য ছিল চিতু ডাকাতের আবাসভূমি তাই তার নাম হয় চিত্রপুর যা কালক্রমে হয়ে ওঠে চিৎপুর৷ যার শুরু আছে, তার শেষও আছে। চিতে ডাকাতের শেষও নির্ধারিত ছিল।সেই সময় চিৎপুরের কাছে দত্ত পদবীর একঘর সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বাস করতেন। চক্রপাণি দত্ত বলে সেই পরিবারের একজন নবাবের সেনাপতি ছিলেন।একবার ওই বীর ও দুঃসাহসী চক্রপাণি নিজের পরিবার সমেত নিজের গ্রাম চিৎপুরে আসেন চিত্রেশ্বরী দেবীর পূজা দিতে। সেখানেই তাঁর সাথে চিতে ডাকাতের সংঘর্ষ বাধল।এরপরে চক্রপাণি দত্ত, কোম্পানি আর নবাবের সাথে গোপনে পরামর্শ করে ডাকাত ধরার ব্যবস্থা করলেন। এক রাত্রে তিনি গোপনে গভীর অরণ্যের মধ্যে কোম্পানি আর নবাবের সৈন্য নিয়ে চিতে ডাকাত কে ধরার জন্য প্রস্তুত হলেন আর তার নির্দেশে আচমকা নবাব আর কোম্পানির সশস্ত্র বাহিনী এসে গোটা মন্দির ঘিরে ফেলাতে চিতে ডাকাতের যে সঙ্গীরা বাধা দিতে গেল, তাঁরা সেখানেই মরলো, বাকিরা প্রাণভয়ে পলায়ন করলো।প্রাণভয়ে পালাতে গিয়ে চিতে ডাকাতও ধরা পড়েন আর সেকালের বিধান ও শাস্তি অনুসারে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। চিতু ডাকাতের পরলোকপ্রাপ্তির পর থেকে দেবী চিত্তেশ্বরীর নিম কাঠের তৈরি বিগ্রহ জঙ্গলে পড়ে রইলো, বন্ধ হল তাঁর পূজাপাঠ। এইভাবে বহুবছর অতিক্রান্ত হবার পরে নৃসিংহ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সাধু গঙ্গাতীরে চিৎপুরের বনে সাধনা করতেন। একদিন গভীর রাত্রে দেবী চিত্তেশ্বরী তাঁকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য স্বপ্নে নির্দেশ দেন। পরে বহু অনুসন্ধান করবার পর দেবীকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে তাঁর দারুমূর্ত্তিতে পুনরায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী চিত্তেশ্বরীর মূর্ত্তি উদ্ধারের সময় নৃসিংহ ব্রহ্মচারী দেবীর বক্ষস্থলে আটটি চরণে লেখা দুটি শ্লোক দেখতে পান। তিনি সেই মন্ত্রে দেবীর পূজা করেন এবং আজও সেই গুপ্ত মন্ত্রে চিতু ডাকাতের পূজিতা চিত্তেশ্বরী দুর্গাদেবীর পুজো হয়ে থাকে। ছবি©অরূপ কুমার দে ইতিহাসের বেশীরভাগ তথ্য নীচে উল্লেখিত বইগুলো থেকে পাওয়া৷ #আরও বিশদভাবে জানতে হলে নীচে দেওয়া বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন৷ ১) বাংলার ডাকাত, যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান৷ ২) বাংলার ডাকাত, ধীরেন্দ্রলাল ধর, দে’জ পাবলিশিং৷ ৩)বাংলার ডাকাত, খগেন্দ্রনাথ মিত্র। © লেখা -- অরূপ কুমার দে
Suvendu Das

Suvendu Das

hotel
Find your stay

Affordable Hotels in Kolkata

Find a cozy hotel nearby and make it a full experience.

Get the Appoverlay
Get the AppOne tap to find yournext favorite spots!
চিত্তেশ্বরী_দুর্গামন্দির_চিৎপুর৷ আদি চিত্তেশ্বরী দুর্গা মন্দিরটা কলকাতার কাশীপুরের ‘গান-অ্যান্ড-শেল’ কারখানার পাশে অবস্থিত। জনশ্রুতি যে প্রাচীন কলকাতার চিৎপুর (‘চিত্রপুর’) অঞ্চলের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন ‘চিত্তেশ্বরী’/’চিত্রেশ্বরী’। আনুমানিক প্রায় আঠশো বছর আগে #চিতু ডাকাত এই দেবীপূজা শুরু করেন৷ দেবীমূর্তি প্রাচীন হলেও বর্তমান চিত্তেশ্বরী মন্দিরটি বয়সে অপেক্ষাকৃত নবীন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শ্রী মনোহর ঘোষের নাম উল্লিখিত আছে। বাংলার ডাকাতদের তৈরি প্রাচীন কালীমন্দিরে নরবলির ইতিহাস পাওয়া যায়। কিন্তু ডাকাতের আরাধ্য দেবী দুর্গা আবার সেখানে নরবলির ইতিহাস বিরলতম। চিতু ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত চিত্তেশ্বরী মন্দির এক্ষেত্রে ইতিহাসের এক ব্যতিক্রম। ঐতিহাসিকদের মতে “চিৎপুর রোড কলিকাতার একটা অতি পুরানো পথ। মোগল বাদশাহর আমল থেকেএই পথটার অস্তিত্ব। তখনদিনে ভীষণ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলেছিলো অপ্রশস্ত বনপথ। এই পথের যাত্রীরা, কাপালিক এবং শাক্ত-সন্ন্যাসীরা, সেই পুরাকালে চিত্রেশ্বরী ঠাকুর দর্শন করে জঙ্গল সমাচ্ছন্ন চৌরঙ্গীর মধ্য দিয়ে কালীঘাট যেতেন যে রাস্তাকে ইংরেজ আমলে 'পিলগ্রিমেজ পাথ' বলা হতো। চিত্রেশ্বরীর নাম থেকেই এই পথটার নাম ‘চিৎপুর’ হয়েছে। বাংলা দেশের সর্বত্র “ডাকাতে কালী” দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু “ডাকাতে দুর্গা” একমাত্র কাশীপুর – চিৎপুর ব্যাতীত কোথাও দেখতে পাওয়া যায়না। চিতু ডাকাত কালীপূজা না করে দুর্গাপূজা করতেন, এটাই ছিল তাঁর বিশেষত্ব। চিতু বা চিতে ডাকাতের সম্পূর্ণ নাম ছিল চিত্তেশ্বর রায় বা চিত্রেশ্বর রায়। সেকালে লোকদের মূর্তিমান বিভীষিকা চিতু ডাকাত আগে চিঠিতে খবর দিয়ে ডাকাতি করতে যেতো আর যাবার আগে দেবী দুর্গার ষোড়শোপচারে পূজা করে নরবলি দিয়ে তারপর সে ডাকাতি করতে পথে বেরোতো৷ আজ যেখানে চিত্তেশ্বরী দেবীর মন্দির অবস্থিত একসময় তার খুব কাছেই ছিল গঙ্গা। এই চিতু ডাকাতের বংশেই পরে রঘু ডাকাতের জন্ম হয়েছিল। ডাকাতির জন্য রঘু ডাকাতের নামও গোটা বাংলায় খ্যাতিলাভ করে আর তাঁর সম্বন্ধেও বহু অলৌকিক কাহিনী আজও প্রবাদের ন্যায় প্রচলিত রয়েছে৷ চিতু ডাকাতের পূজিত দুর্গাদেবীর মুর্তিতে কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য৷ দেবী অসুরদলনী সিংহবাহিনী হলেও, তাঁর দুইপার্শ্বে লক্ষ্মী-সরস্বতী ও কার্ত্তিক-গণেশ নেই। প্রচলিত দুর্গামুর্তিতে কোথাও বাঘ দেখা যায় না। কিন্তু চিতুর দুর্গাপ্রতিমার পাদদেশে একটি বাঘ আছে। প্রাচীনকালে কাশীপুর থেকে কলকাতা যখন জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল ছিল, তখন ডাকাতেরা বন জঙ্গলে বাঘকে সন্তুষ্ট করার জন্য পূজা করত। চিতু ডাকাতের পূজিতা দেবী দুর্গার নাম হয় চিত্তেশ্বরী ও কাশীপুরের অরণ্য ছিল চিতু ডাকাতের আবাসভূমি তাই তার নাম হয় চিত্রপুর যা কালক্রমে হয়ে ওঠে চিৎপুর৷ যার শুরু আছে, তার শেষও আছে। চিতে ডাকাতের শেষও নির্ধারিত ছিল।সেই সময় চিৎপুরের কাছে দত্ত পদবীর একঘর সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বাস করতেন। চক্রপাণি দত্ত বলে সেই পরিবারের একজন নবাবের সেনাপতি ছিলেন।একবার ওই বীর ও দুঃসাহসী চক্রপাণি নিজের পরিবার সমেত নিজের গ্রাম চিৎপুরে আসেন চিত্রেশ্বরী দেবীর পূজা দিতে। সেখানেই তাঁর সাথে চিতে ডাকাতের সংঘর্ষ বাধল।এরপরে চক্রপাণি দত্ত, কোম্পানি আর নবাবের সাথে গোপনে পরামর্শ করে ডাকাত ধরার ব্যবস্থা করলেন। এক রাত্রে তিনি গোপনে গভীর অরণ্যের মধ্যে কোম্পানি আর নবাবের সৈন্য নিয়ে চিতে ডাকাত কে ধরার জন্য প্রস্তুত হলেন আর তার নির্দেশে আচমকা নবাব আর কোম্পানির সশস্ত্র বাহিনী এসে গোটা মন্দির ঘিরে ফেলাতে চিতে ডাকাতের যে সঙ্গীরা বাধা দিতে গেল, তাঁরা সেখানেই মরলো, বাকিরা প্রাণভয়ে পলায়ন করলো।প্রাণভয়ে পালাতে গিয়ে চিতে ডাকাতও ধরা পড়েন আর সেকালের বিধান ও শাস্তি অনুসারে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। চিতু ডাকাতের পরলোকপ্রাপ্তির পর থেকে দেবী চিত্তেশ্বরীর নিম কাঠের তৈরি বিগ্রহ জঙ্গলে পড়ে রইলো, বন্ধ হল তাঁর পূজাপাঠ। এইভাবে বহুবছর অতিক্রান্ত হবার পরে নৃসিংহ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সাধু গঙ্গাতীরে চিৎপুরের বনে সাধনা করতেন। একদিন গভীর রাত্রে দেবী চিত্তেশ্বরী তাঁকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য স্বপ্নে নির্দেশ দেন। পরে বহু অনুসন্ধান করবার পর দেবীকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে তাঁর দারুমূর্ত্তিতে পুনরায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী চিত্তেশ্বরীর মূর্ত্তি উদ্ধারের সময় নৃসিংহ ব্রহ্মচারী দেবীর বক্ষস্থলে আটটি চরণে লেখা দুটি শ্লোক দেখতে পান। তিনি সেই মন্ত্রে দেবীর পূজা করেন এবং আজও সেই গুপ্ত মন্ত্রে চিতু ডাকাতের পূজিতা চিত্তেশ্বরী দুর্গাদেবীর পুজো হয়ে থাকে।
Subarna Daw

Subarna Daw

hotel
Find your stay

The Coolest Hotels You Haven't Heard Of (Yet)

Find a cozy hotel nearby and make it a full experience.

hotel
Find your stay

Trending Stays Worth the Hype in Kolkata

Find a cozy hotel nearby and make it a full experience.

Established in 1610, the Adi Chitteswari Durga Temple is considered one of the oldest Ma Durga temples in Kolkata. The temple is located in the Cossipore-Chitpur region of north Kolkata, just opposite to the Gun and Shell Factory, very close to the Sarbamangala Ghat. The temple is relatively less crowded and the atmosphere is serene. The idols of Lord Ram and his family present within the complex are made in the local style, quite different from the traditional North Indian style. As per the information panels, the famous Chitpur Road (present-day Rabindra Sarani) is named after this temple, and the goddess (Chitteswari Durga) was worshipped by dacoits in the jungles of Chitpur more than 400 years back. A must-visit for history and heritage lovers.
Punyasloka Mukhopadhyay

Punyasloka Mukhopadhyay

See more posts
See more posts

Reviews of Adi Chitteswari Durga Temple

4.8
(101)
avatar
5.0
1y

#বাসন্তী_পুজো

#চিত্তেশ্বরীদুর্গামন্দিরচিৎপুর৷

আদি চিত্তেশ্বরী দুর্গা মন্দিরটা কলকাতার কাশীপুরের ‘গান-অ্যান্ড-শেল’ কারখানার পাশে অবস্থিত। জনশ্রুতি যে প্রাচীন কলকাতার চিৎপুর (‘চিত্রপুর’) অঞ্চলের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন ‘চিত্তেশ্বরী’/’চিত্রেশ্বরী’। আনুমানিক প্রায় আঠশো বছর আগে #চিতু ডাকাত এই দেবীপূজা শুরু করেন৷ দেবীমূর্তি প্রাচীন হলেও বর্তমান চিত্তেশ্বরী মন্দিরটি বয়সে অপেক্ষাকৃত নবীন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শ্রী মনোহর ঘোষের নাম উল্লিখিত আছে। বাংলার ডাকাতদের তৈরি প্রাচীন কালীমন্দিরে নরবলির ইতিহাস পাওয়া যায়। কিন্তু ডাকাতের আরাধ্য দেবী দুর্গা আবার সেখানে নরবলির ইতিহাস বিরলতম। চিতু ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত চিত্তেশ্বরী মন্দির এক্ষেত্রে ইতিহাসের এক ব্যতিক্রম। ঐতিহাসিকদের মতে “চিৎপুর রোড কলিকাতার একটা অতি পুরানো পথ। মোগল বাদশাহর আমল থেকেএই পথটার অস্তিত্ব। তখনদিনে ভীষণ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলেছিলো অপ্রশস্ত বনপথ। এই পথের যাত্রীরা, কাপালিক এবং শাক্ত-সন্ন্যাসীরা, সেই পুরাকালে চিত্রেশ্বরী ঠাকুর দর্শন করে জঙ্গল সমাচ্ছন্ন চৌরঙ্গীর মধ্য দিয়ে কালীঘাট যেতেন যে রাস্তাকে ইংরেজ আমলে 'পিলগ্রিমেজ পাথ' বলা হতো। চিত্রেশ্বরীর নাম থেকেই এই পথটার নাম ‘চিৎপুর’ হয়েছে। বাংলা দেশের সর্বত্র “ডাকাতে কালী” দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু “ডাকাতে দুর্গা” একমাত্র কাশীপুর – চিৎপুর ব্যাতীত কোথাও দেখতে পাওয়া যায়না। চিতু ডাকাত কালীপূজা না করে দুর্গাপূজা করতেন, এটাই ছিল তাঁর বিশেষত্ব। চিতু বা চিতে ডাকাতের সম্পূর্ণ নাম ছিল চিত্তেশ্বর রায় বা চিত্রেশ্বর রায়। সেকালে লোকদের মূর্তিমান বিভীষিকা চিতু ডাকাত আগে চিঠিতে খবর দিয়ে ডাকাতি করতে যেতো আর যাবার আগে দেবী দুর্গার ষোড়শোপচারে পূজা করে নরবলি দিয়ে তারপর সে ডাকাতি করতে পথে বেরোতো৷ আজ যেখানে চিত্তেশ্বরী দেবীর মন্দির অবস্থিত একসময় তার খুব কাছেই ছিল গঙ্গা। এই চিতু ডাকাতের বংশেই পরে রঘু ডাকাতের জন্ম হয়েছিল। ডাকাতির জন্য রঘু ডাকাতের নামও গোটা বাংলায় খ্যাতিলাভ করে আর তাঁর সম্বন্ধেও বহু অলৌকিক কাহিনী আজও প্রবাদের ন্যায় প্রচলিত রয়েছে৷ চিতু ডাকাতের পূজিত দুর্গাদেবীর মুর্তিতে কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য৷ দেবী অসুরদলনী সিংহবাহিনী হলেও, তাঁর দুইপার্শ্বে লক্ষ্মী-সরস্বতী ও কার্ত্তিক-গণেশ নেই। প্রচলিত দুর্গামুর্তিতে কোথাও বাঘ দেখা যায় না। কিন্তু চিতুর দুর্গাপ্রতিমার পাদদেশে একটি বাঘ আছে। প্রাচীনকালে কাশীপুর থেকে কলকাতা যখন জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল ছিল, তখন ডাকাতেরা বন জঙ্গলে বাঘকে সন্তুষ্ট করার জন্য পূজা করত। চিতু ডাকাতের পূজিতা দেবী দুর্গার নাম হয় চিত্তেশ্বরী ও কাশীপুরের অরণ্য ছিল চিতু ডাকাতের আবাসভূমি তাই তার নাম হয় চিত্রপুর যা কালক্রমে হয়ে ওঠে চিৎপুর৷ যার শুরু আছে, তার শেষও আছে। চিতে ডাকাতের শেষও নির্ধারিত ছিল।সেই সময় চিৎপুরের কাছে দত্ত পদবীর একঘর সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বাস করতেন। চক্রপাণি দত্ত বলে সেই পরিবারের একজন নবাবের সেনাপতি ছিলেন।একবার ওই বীর ও দুঃসাহসী চক্রপাণি নিজের পরিবার সমেত নিজের গ্রাম চিৎপুরে আসেন চিত্রেশ্বরী দেবীর পূজা দিতে। সেখানেই তাঁর সাথে চিতে ডাকাতের সংঘর্ষ বাধল।এরপরে চক্রপাণি দত্ত, কোম্পানি আর নবাবের সাথে গোপনে পরামর্শ করে ডাকাত ধরার ব্যবস্থা করলেন। এক রাত্রে তিনি গোপনে গভীর অরণ্যের মধ্যে কোম্পানি আর নবাবের সৈন্য নিয়ে চিতে ডাকাত কে ধরার জন্য প্রস্তুত হলেন আর তার নির্দেশে আচমকা নবাব আর কোম্পানির সশস্ত্র বাহিনী এসে গোটা মন্দির ঘিরে ফেলাতে চিতে ডাকাতের যে সঙ্গীরা বাধা দিতে গেল, তাঁরা সেখানেই মরলো, বাকিরা প্রাণভয়ে পলায়ন করলো।প্রাণভয়ে পালাতে গিয়ে চিতে ডাকাতও ধরা পড়েন আর সেকালের বিধান ও শাস্তি অনুসারে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। চিতু ডাকাতের পরলোকপ্রাপ্তির পর থেকে দেবী চিত্তেশ্বরীর নিম কাঠের তৈরি বিগ্রহ জঙ্গলে পড়ে রইলো, বন্ধ হল তাঁর পূজাপাঠ। এইভাবে বহুবছর অতিক্রান্ত হবার পরে নৃসিংহ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সাধু গঙ্গাতীরে চিৎপুরের বনে সাধনা করতেন। একদিন গভীর রাত্রে দেবী চিত্তেশ্বরী তাঁকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য স্বপ্নে নির্দেশ দেন। পরে বহু অনুসন্ধান করবার পর দেবীকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে তাঁর দারুমূর্ত্তিতে পুনরায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী চিত্তেশ্বরীর মূর্ত্তি উদ্ধারের সময় নৃসিংহ ব্রহ্মচারী দেবীর বক্ষস্থলে আটটি চরণে লেখা দুটি শ্লোক দেখতে পান। তিনি সেই মন্ত্রে দেবীর পূজা করেন এবং আজও সেই গুপ্ত মন্ত্রে চিতু ডাকাতের পূজিতা চিত্তেশ্বরী দুর্গাদেবীর পুজো হয়ে থাকে।

ছবি©অরূপ কুমার দে ইতিহাসের বেশীরভাগ তথ্য নীচে উল্লেখিত বইগুলো থেকে পাওয়া৷ #আরও বিশদভাবে জানতে হলে নীচে দেওয়া বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন৷ ১) বাংলার ডাকাত, যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান৷ ২) বাংলার ডাকাত, ধীরেন্দ্রলাল ধর, দে’জ পাবলিশিং৷ ৩)বাংলার ডাকাত, খগেন্দ্রনাথ মিত্র। © লেখা --...

   Read more
avatar
5.0
1y

চিত্তেশ্বরীদুর্গামন্দিরচিৎপুর৷

আদি চিত্তেশ্বরী দুর্গা মন্দিরটা কলকাতার কাশীপুরের ‘গান-অ্যান্ড-শেল’ কারখানার পাশে অবস্থিত। জনশ্রুতি যে প্রাচীন কলকাতার চিৎপুর (‘চিত্রপুর’) অঞ্চলের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন ‘চিত্তেশ্বরী’/’চিত্রেশ্বরী’। আনুমানিক প্রায় আঠশো বছর আগে #চিতু ডাকাত এই দেবীপূজা শুরু করেন৷ দেবীমূর্তি প্রাচীন হলেও বর্তমান চিত্তেশ্বরী মন্দিরটি বয়সে অপেক্ষাকৃত নবীন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শ্রী মনোহর ঘোষের নাম উল্লিখিত আছে। বাংলার ডাকাতদের তৈরি প্রাচীন কালীমন্দিরে নরবলির ইতিহাস পাওয়া যায়। কিন্তু ডাকাতের আরাধ্য দেবী দুর্গা আবার সেখানে নরবলির ইতিহাস বিরলতম। চিতু ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত চিত্তেশ্বরী মন্দির এক্ষেত্রে ইতিহাসের এক ব্যতিক্রম। ঐতিহাসিকদের মতে “চিৎপুর রোড কলিকাতার একটা অতি পুরানো পথ। মোগল বাদশাহর আমল থেকেএই পথটার অস্তিত্ব। তখনদিনে ভীষণ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলেছিলো অপ্রশস্ত বনপথ। এই পথের যাত্রীরা, কাপালিক এবং শাক্ত-সন্ন্যাসীরা, সেই পুরাকালে চিত্রেশ্বরী ঠাকুর দর্শন করে জঙ্গল সমাচ্ছন্ন চৌরঙ্গীর মধ্য দিয়ে কালীঘাট যেতেন যে রাস্তাকে ইংরেজ আমলে 'পিলগ্রিমেজ পাথ' বলা হতো। চিত্রেশ্বরীর নাম থেকেই এই পথটার নাম ‘চিৎপুর’ হয়েছে। বাংলা দেশের সর্বত্র “ডাকাতে কালী” দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু “ডাকাতে দুর্গা” একমাত্র কাশীপুর – চিৎপুর ব্যাতীত কোথাও দেখতে পাওয়া যায়না। চিতু ডাকাত কালীপূজা না করে দুর্গাপূজা করতেন, এটাই ছিল তাঁর বিশেষত্ব। চিতু বা চিতে ডাকাতের সম্পূর্ণ নাম ছিল চিত্তেশ্বর রায় বা চিত্রেশ্বর রায়। সেকালে লোকদের মূর্তিমান বিভীষিকা চিতু ডাকাত আগে চিঠিতে খবর দিয়ে ডাকাতি করতে যেতো আর যাবার আগে দেবী দুর্গার ষোড়শোপচারে পূজা করে নরবলি দিয়ে তারপর সে ডাকাতি করতে পথে বেরোতো৷ আজ যেখানে চিত্তেশ্বরী দেবীর মন্দির অবস্থিত একসময় তার খুব কাছেই ছিল গঙ্গা। এই চিতু ডাকাতের বংশেই পরে রঘু ডাকাতের জন্ম হয়েছিল। ডাকাতির জন্য রঘু ডাকাতের নামও গোটা বাংলায় খ্যাতিলাভ করে আর তাঁর সম্বন্ধেও বহু অলৌকিক কাহিনী আজও প্রবাদের ন্যায় প্রচলিত রয়েছে৷ চিতু ডাকাতের পূজিত দুর্গাদেবীর মুর্তিতে কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগ্য৷ দেবী অসুরদলনী সিংহবাহিনী হলেও, তাঁর দুইপার্শ্বে লক্ষ্মী-সরস্বতী ও কার্ত্তিক-গণেশ নেই। প্রচলিত দুর্গামুর্তিতে কোথাও বাঘ দেখা যায় না। কিন্তু চিতুর দুর্গাপ্রতিমার পাদদেশে একটি বাঘ আছে। প্রাচীনকালে কাশীপুর থেকে কলকাতা যখন জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চল ছিল, তখন ডাকাতেরা বন জঙ্গলে বাঘকে সন্তুষ্ট করার জন্য পূজা করত। চিতু ডাকাতের পূজিতা দেবী দুর্গার নাম হয় চিত্তেশ্বরী ও কাশীপুরের অরণ্য ছিল চিতু ডাকাতের আবাসভূমি তাই তার নাম হয় চিত্রপুর যা কালক্রমে হয়ে ওঠে চিৎপুর৷ যার শুরু আছে, তার শেষও আছে। চিতে ডাকাতের শেষও নির্ধারিত ছিল।সেই সময় চিৎপুরের কাছে দত্ত পদবীর একঘর সম্ভ্রান্ত কায়স্থ বাস করতেন। চক্রপাণি দত্ত বলে সেই পরিবারের একজন নবাবের সেনাপতি ছিলেন।একবার ওই বীর ও দুঃসাহসী চক্রপাণি নিজের পরিবার সমেত নিজের গ্রাম চিৎপুরে আসেন চিত্রেশ্বরী দেবীর পূজা দিতে। সেখানেই তাঁর সাথে চিতে ডাকাতের সংঘর্ষ বাধল।এরপরে চক্রপাণি দত্ত, কোম্পানি আর নবাবের সাথে গোপনে পরামর্শ করে ডাকাত ধরার ব্যবস্থা করলেন। এক রাত্রে তিনি গোপনে গভীর অরণ্যের মধ্যে কোম্পানি আর নবাবের সৈন্য নিয়ে চিতে ডাকাত কে ধরার জন্য প্রস্তুত হলেন আর তার নির্দেশে আচমকা নবাব আর কোম্পানির সশস্ত্র বাহিনী এসে গোটা মন্দির ঘিরে ফেলাতে চিতে ডাকাতের যে সঙ্গীরা বাধা দিতে গেল, তাঁরা সেখানেই মরলো, বাকিরা প্রাণভয়ে পলায়ন করলো।প্রাণভয়ে পালাতে গিয়ে চিতে ডাকাতও ধরা পড়েন আর সেকালের বিধান ও শাস্তি অনুসারে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। চিতু ডাকাতের পরলোকপ্রাপ্তির পর থেকে দেবী চিত্তেশ্বরীর নিম কাঠের তৈরি বিগ্রহ জঙ্গলে পড়ে রইলো, বন্ধ হল তাঁর পূজাপাঠ। এইভাবে বহুবছর অতিক্রান্ত হবার পরে নৃসিংহ ব্রহ্মচারী নামে এক তান্ত্রিক সাধু গঙ্গাতীরে চিৎপুরের বনে সাধনা করতেন। একদিন গভীর রাত্রে দেবী চিত্তেশ্বরী তাঁকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য স্বপ্নে নির্দেশ দেন। পরে বহু অনুসন্ধান করবার পর দেবীকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে তাঁর দারুমূর্ত্তিতে পুনরায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। দেবী চিত্তেশ্বরীর মূর্ত্তি উদ্ধারের সময় নৃসিংহ ব্রহ্মচারী দেবীর বক্ষস্থলে আটটি চরণে লেখা দুটি শ্লোক দেখতে পান। তিনি সেই মন্ত্রে দেবীর পূজা করেন এবং আজও সেই গুপ্ত মন্ত্রে চিতু ডাকাতের পূজিতা চিত্তেশ্বরী দুর্গাদেবীর...

   Read more
avatar
5.0
5y

Very peaceful and powerful place. There is a panch munda asana just behind the temple. There are temples dedicated to Maa Shitala , Sri Krishna. Inside the Sri Krishna temple one can see holy implements for tantric worship. The temple is not maintained well maybe because of limited visits . There were human sacrifices at one time . The place for such sacrifice can still be seen between the Ma Durga temple and Naat mansur the Shiva Lingam is very large and comically shaped on the top. Very rare lingam and myst have been used for special tantric rites. Practitioners of tantra method should visit the temple regularly. Perhaps with their continual usage of the panch munda asana it will regain its strength. The Pandit who tends the temple is a very shy and quiet man. Devotees and interested persons should visit the temple regularly and Ma permitting it will again become a major centre for shakti worship. Many devotees would have attained darshan here. The magic associated with such places still exists here. The Ma Shitala temple , The Durga temple , the Ram Sita temple , the Shiva lingam are power spots which need to be revived with...

   Read more
Page 1 of 7
Previous
Next