এশিয়াটিক সোসাইটির ঐতিহ্য জাদুঘর মুঘল আমলের সরকারি ভবন নিমতলী প্রাসাদের প্রবেশদ্বার এটি। প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো। এই দেউড়ি শুধু পুরান ঢাকার নয়, গোটা ঢাকার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। প্রাসাদ নেই, আছে প্রবেশপথ কিংবা দেউড়িটি। প্রাসাদের চিহ্নস্বরূপ একমাত্র এই দেউড়ি অবশিষ্ট থাকলেও তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত নয়। এ ছাড়া এই নিমতলী দেউড়ির একটি রেপ্লিকাও তৈরি করা আছে। এখন নিমতলী দেউড়িতে জাদুঘর স্থাপনের কাজ অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। সোসাইটির সামনেই রেপ্লিকাটি স্থাপন করা। তবে জাদুঘরটি খুব শিগগিরই দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির অভ্যন্তরে পুরান ঢাকার নিমতলী দেউড়ির অবস্থান। এটি বঙ্গবাজারের কাছে আনন্দবাজারে। নিমতলী মহল্লায় এই তোরণটি নির্মিত হয় বলে সাধারণের কাছে নিমতলী দেউড়ি নামে পরিচিত। প্রকৃতপক্ষে মুঘল আমলের শেষ দিকে ঢাকার নিমতলীতে নির্মিত একটি সরকারি প্রাসাদের প্রবেশদ্বার এই দেউড়ি। নবাবি আমলে নায়েব এ নাজিম বা সহকারী সুবেদারের সরকারি বাসস্থানটিই নিমতলী প্রাসাদ। ইংরেজ শাসনামলেও এই প্রাসাদের নব রূপায়ণ ঘটে। এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ড. সাব্বির আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এখন নিমতলী দেউড়িতে জাদুঘরের কাজ চলছে। আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহে দেউড়িটি উন্মুক্ত করা হবে। ১৬১০ সালে পূর্ববাংলা মুঘলদের নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঢাকা মুঘল সুবার রাজধানী হয়। এক শতকেরও বেশি সময় ধরে রাজধানী ঢাকার বিস্তার ঘটতে থাকে। এই ধারাবাহিকতার অবসান ঘটে ১৭১৫ সালের দিকে। এখানে একটু ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দেওয়া যেতে পারে। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব অথবা বাদশাহ আলমগীর ছিলেন শেষ প্রভাবশালী মুঘল সম্রাট। পরবর্তী সম্রাটরা ছিলেন দুর্বল প্রকৃতির। তাদের দুর্বল শাসনের সময়কালে মুঘল সাম্রাজ্য ক্রমে ক্ষয়িষ্ণু হতে থাকে। আওরঙ্গজেবের শাসনকালে সুবা বাংলার রাজধানী ঢাকাতে সুবেদার হিসেবে নিয়োগ পান মুর্শিদ কুলি খান। এই দক্ষ সুবেদার আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে সরিয়ে নেন পশ্চিম বাংলার কর্ণ সুবর্ণে। তার নাম থেকে এই অঞ্চলের নতুন নাম হয় মুর্শিদাবাদ। তিনি এ সময় থেকে ঢাকার প্রশাসনিক দফতরের দায়িত্ব দেন একজন সহকারী সুবেদারকে। তার উপাধি ছিল নায়েব এ নাজিম। এই সময়ই সুবা বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা তখন একজন নায়েব এ নাজিমের অধীনে প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে টিকে থাকে। ১৭৬৬ সালে নায়েব এ নাজিমের জন্য নিমতলী প্রাসাদ নির্মাণ করা হয়। বর্তমান চানখাঁরপুল থেকে নাজিমউদ্দিন রোড ধরে হাতের বাঁ সড়কটিই নিমতলী। এখানে নির্মাণ হয়েছিল প্রাসাদ। স্থানীয়রা একে নবাব কাটরাও বলে থাকেন। এই প্রাসাদের প্রবেশদ্বার হিসেবে নির্মিত হয় দেউড়িটি। এটি ছিল একটি দৃষ্টিনন্দন তোরণ। নির্মাণকালের জৌলুস না থাকলেও এখনো দর্শককে বিমোহিত করে। তোরণটি তিন তলাবিশিষ্ট। ত্রিতলের উন্মুক্ত গ্যালারিটিকে নহবতখানা বলা হতো। এখান থেকে বাদ্য বাজিয়ে নায়েব এ নাজিমের আগমন ঘোষণা করা হতো। নিমতলী প্রাসাদ আর দেউড়ি নির্মাণের একটি পটভূমি রয়েছে। পলাশী যুদ্ধের আগে থেকে ঢাকায় নিযুক্ত নায়েব নাজিমরা ঢাকা দুর্গ বা বড় কাটরাকে বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করতেন। পলাশী যুদ্ধের পর নবাবের অনুগতদের দমন করার জন্য ইংরেজ সেনা অফিসার লেফটেন্যান্ট সুইটনট ঢাকা আক্রমণ করেন। এ সময় ঢাকার নায়েব নাজিম জসরত খান ঢাকায় ছিলেন না। ছিলেন বিহারে। তবে তিনি ছিলেন ইংরেজদের অনুগত। ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণাকারী নবাব মীর কাসিম সেখানে জসরত খানকে বন্দী করেন। লে. সুইটনট ঢাকায় এসে অবস্থান নেন এবং ঢাকা দুর্গে বসবাস করতে থাকেন। লর্ড ক্লাইভের হাতে বাংলার শাসন ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর তিনি জসরত খানকে মুক্ত করেন এবং ১৭৬৫ সালে ঢাকার নায়েব নাজিম হিসেবে পুনরায় নিয়োগ দেন। জসরত খান ঢাকায় ফিরে আসার পর সাময়িকভাবে বসবাস করতে...
Read more孟加拉国亚洲文化博物馆,在孟加拉国亚洲文化研究中心后面,周5和周6开门,是18世纪的一栋古建筑翻新改建的小博物馆,看着很新,实际已经快300年了。里面有很多记录达卡历史的东西及资料,从莫卧儿时期到英国殖民时期再到现在,外国人门票200tk,一般人很难发现此处,去的时候一个老教授给我们讲解,老教授去...
Read moreA place which reserves history...
Read more