মালয়েশিয়ার যাদুঘরগুলিতে তাদের,দেশের ইতিহাস আর ঐতিহাসিক সব ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। তাই যাদুঘরে ঢোকার সময় তাদের ইতিহাস একটু জেনে নেওয়া দরকার।
প্রাচীনকালে মালয়েশিয়া নামে কোনো দেশ ছিলো না। সেই জায়গায় ছিলো মালাক্কা সাম্রাজ্য যেখান থেকে পৃথিবী বিখ্যাত মালাক্কা প্রণালীর নামকরণ হয়েছে।
আরব থেকে আসা বিখ্যাত আলেম সৈয়দ আব্দুল আজিজের মাধ্যমে মালাক্কার রাজা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে সমগ্র এলাকায় ইসলাম দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
১৫১১ সালে পর্তুগিজ নৌবহর মালাক্কা আক্রমণ করে দখল করে। মালাক্কার সুলতান পালিয়ে চলে যান আরেক এলাকায় আর প্রতিষ্ঠা করেন জোহর রাজ্য।
এরপর ১৬৪০ সালে ডাচদের সহযোগিতায় পর্তুগিজদের যুদ্ধে হারিয়ে বিতাড়িত করা হয়। দেশের এক অংশ ডাচ আর বাকি অংশ বিভিন্ন সুলতানের দখলে থাকে।
পরবর্তীতে ব্রিটিশরা মালয়েশিয়ায় প্রভাব বিস্তার করে। তারা সেই এলাকার শাসকদের অধীনতামূলক মিত্রতা জাতীয় বিভিন্ন পরাধীনতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে যুদ্ধে পরাজিত করে দখল করে সমগ্র এলাকা।
মাহাথির মোহাম্মদ তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন এই ঘটনায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অপরাজেয়তার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যায়।
ফলে, এশিয়ার মানুষের পক্ষেও যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে হারানো সম্ভব সেটা ঐ এলাকার মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে।
তীব্র হয়ে ওঠে মালয় জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলন। মালয় জাতীয়তাবাদীদের পাশাপাশি কমিউনিস্ট গেরিলারা গুপ্ত হত্যা আর চোরাগোপ্তা হামলা শুরু করে।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি অনেক মানুষ এমনকি সেই এলাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনার পর্যন্ত খুন হয়ে যান।
ফেডারেশন অফ মালয়েশিয়া ১৯৫৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া থেকে আলাদা হয়ে যায় ।
এমপি মাহাথির মোহাম্মদ সেই আমলে মালয়েশিয়ার তৎকালিন প্রধানমন্ত্রীকে অসম্ভব সাহসী এক খোলা চিঠি লেখেন।
সেখানে তিনি সরাসরি বলেন যে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী একজন চাটুকার বেষ্টিত মানুষ যার আশেপাশের মানুষগুলো তিনি যা শুনতে চান তাকে খুশি করার জন্য শুধু তাই বলেন।
এই চিঠি ছাপা হবার পরপরই মাহাথির মোহাম্মদ গ্রেফতার হন। তার জেল হয়। মাহাথির মোহাম্মদ রাজনৈতিক দল থেকেও বহিষ্কার হন। ঐ চিঠি পুনরায় প্রকাশ কিংবা কারো কাছে রাখা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে লিপিবদ্ধ করে কঠোর আইন পাস করা হয়।
ঐ সময় বেশিরভাগ মানুষই নিশ্চিতভাবে ধরে নিয়েছিলো, মাহাথির মোহাম্মদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার পুরোপুরি শেষ।
কিন্তু ঐ চিঠির কারণে এবং পরবর্তীতে পট পরিবর্তনের ফলে মাহাথির মোহাম্মদ অত্যন্ত সাহসী জাতীয় নেতা হিসেবে মালয়েশিয়ার সর্বত্র পরিচিত হয়ে যান।
পরবর্তীতে সেই খ্যাতিই তার জাতীয় নেতা, প্রধানমন্ত্রী ও মহান জীবন্ত কিংবদন্তি হবার পথ খুলে দেয়। মালয়েশিয়ার দুইতলা বিশিষ্ট জাতীয় যাদুঘরে এসব ইতিহাসের একটি বড় অংশ চারটি গ্যালারি জুড়ে বর্ণিত আছে। আর এই যাদুঘর প্রাঙ্গনেই মালয়েশিয়ার নৃতাত্ত্বিক ও কারুশিল্প যাদুঘর তথা Malay World Ethnology Museum অবস্থিত। সেখানে ঢুকলে মালয়েশিয়ার গ্রামীণ জীবন, বিয়ের অনুষ্ঠান, কারুকাজ করা সুন্দর সব পোশাক, অস্ত্র এরকম সব চমৎকার সুন্দর জিনিস দেখা যায়। এদের আশেপাশেই আছে মালয়েশিয়ার জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বেশ কয়েকটি জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, পক্ষীশালা, নভোথিয়েটার আর...
Read moreI'm glad that I visited during international museum day which is free of charge as the organiser arranged many activities for family and kids participate, such as colouring batik and DIY wayang kulit. Adult was having fun as we could play along traditional games, such as congkak, chess game. There was a quiz contest for us to participate and understanding more on history and the culture of malay. it is worth paying for the ticket and visit. As I surveyed, the ticket for malaysia is reasonable and affordable. Hope that museum will organise more activities like...
Read moreThe museum is located next to National Museum of Malaysia. The culture symbolize to Malay society and culture in Malaysia through a highly aesthetic collections of artefacts, such as traditional arts, clothing and jewellery, traditional games and weapony. The price very reasonable to malaysian citizen and free for children. U can see the wedding of culture,wayang kulit also the kite making. How to make the kite. It’s a cools place and please come to museum to malay world museum. A lot of things we can know about malays. Very recommended place to visit when u come...
Read more